আবরার হত্যা মামলার রায় পেছাল যে কারণে | That is why the verdict in Abrar’s murder case was delayed

0
184

AVvXsEjEtlmPxf4tw67M6BKTU6HJDO pBCYvKG9MCunsxUjLGVJxn8MiSTVvvVCZzdkk10ww14meHBMrMSo2VegXr47yzF3ROsNyD4iwjr7x2HCCinUlNA5PInED8EGJoOiKjWjbg 6Gc LtyMFPwtCoz5WjZwli5fwvAePyNh73OEt uZ70tFIg8qdFTwXc=s16000


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণা উপলক্ষে আজ রোববার সকাল থেকেই আদালত অঙ্গনে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আদালতে সকাল সোয়া ৯টার দিকে আসামিদের প্রিজনভ্যানে করে হাজির করার পরপরই আদালত অঙ্গনের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। প্রিজনভ্যান থেকে একে একে আসামিদের নামিয়ে সারিবদ্ধভাবে গারদখানায় নেওয়া হয়। এ সময় শত শত উৎসুক মানুষ ও আইনজীবীরা আসামিদের দেখার জন্য ভিড় করেন। রায় নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল স্বজনেরাও। অপরদিকে মামলার বাদী ও ভিকটিম আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনেরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২২ আসামিকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়া হয়। পিনপতন নীরবতা পরিবেশের মধ্যে আসামিরাও ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। বিচারক ১২টা ১০ মিনিটে এজলাসে এসে বসেন। এ সময় একপাশে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, অপরপক্ষে আসামিদের আইনজীবী অবস্থান করেন। এরপর তাদের আদালতকক্ষে নেওয়া হয়।

বিচারক এজলাসে বসার পর আদালতে আইনজীবীরা ডায়াসের সামনে দাঁড়ান। এরপরে বিচারক সবার উদ্দেশে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, তা বিশ্লেষণ করে রায় প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।  রায় প্রস্তুত করতে আরও সময় লাগবে। তাই এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হলো।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ৭ অক্টোবর ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার বিচারকাজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) কার্যালয়ে আবেদন করেন মো. বরকত উল্লাহ। পরে ১২ মার্চ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আবরার হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর ফাইল অনুমোদন করেন।

মামলার ২৫ আসামি

অভিযোগপত্রে যে ২৫ জনকে আসামি করা হয়, তারা হলেন—বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, আইন বিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, ছাত্রলীগকর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

আসামিদের মধ্যে মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ পলাতক। বাকি ২২ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। এ মামলায় আসামিদের আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here