ইউক্রেইনের দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি রাশিয়ার | Russia recognizes Ukraine’s Donetsk and Luhansk as independent states

0
105

AVvXsEip4jGtIRcDc2v9mmGLSfIqwT0TqZ msE2 rxolkalodnGaGJtNx3JHo9OKrPzmOubhsWIgFov3aoFLX5bUV47MOLafhAOIJCNv3yUkN2X92BYFmoq QpXjVz SmwpQczaxWu1FI3wMjwrmtI DeTJ69O4cpctjNeTx9mf6cnPmDXA6NSeJe QHWOf =s16000

ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বিবিসি বলছে, এর মাধ্যমে সেখানে কার্যকরভাবে শান্তি আলোচনার ইতি ঘটলো।

স্বঘোষিত গণপ্রজাতন্ত্র দোনেস্ক ও লুহানস্ক রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীদের এলাকা। এই বিদ্রোহীরা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেইনের বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে।

এই দুটি অঞ্চলে রাশিয়ার সেনাদের ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রম’ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুতিন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে প্রবেশের পথ প্রশস্ত করে দিলেন, এমন আশঙ্কা করছে পশ্চিমা শক্তিগুলো।

বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে দোনেস্ক ও লুহানস্কের বিপুল সংখ্যক লোককে রাশিয়ার পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে, এখন নিজেদের নাগরিকদের রক্ষার ভান করে রাশিয়া সামরিক ইউনিটগুলোকে সেখানে পাঠাবে বলে আশঙ্কা পশ্চিমা দেশগুলোর।

সোমবার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেইনের দুটি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর টেলিভিশনে দেওয়া এক ঘণ্টার এক ভাষণে নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেন পুতিন। .

তিনি বলেন, আধুনিক ইউক্রেইনকে ‘সৃষ্টি’ করেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন, দেশটিকে ‘প্রাচীন রুশ ভূমি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

AVvXsEjCUmjO2oJ3YV7dA1sSSPVR2rXOSNuTFLPMwISeSYI qVsPTJXYXnsdZuy0rqnnMGQ7ePG60N6nTUb5zJ6Z1QmqpO7hKSq97d

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর রাশিয়া ‘লুণ্ঠিত’ হয়েছে বলে অনুযোগ করেছেন তিনি। পুতুল সরকার দ্বারা পরিচালিত ইউক্রেইন একটি ‘যুক্তরাষ্ট্রের উপনিবেশে’ পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। দেশটির বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

২০১৪ সালের যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ইউক্রেইনের রাশিয়াপন্থি নেতার পতন ঘটেছিল তাকে অবৈধ ক্ষমতাদখল বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

এর প্রতিক্রিয়ায় গভীর রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে তার দেশের সার্বভৌমত্ব লংঘন করছে।

ইউক্রেইন ‘শান্তি চায়’, এমনটি জানিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, “আমরা ভীত নই। আমরা কাউকে কিছু দেবো না। ইউক্রেইনের এখন দরকার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কার্যকরী পদক্ষেপ ও পরিষ্কার সমর্থন।

তিনি বলেন, “কারা আমাদের প্রকৃত বন্ধু ও অংশীদার আর কে শুধু কথা দিয়ে রাশিয়াকে ভয় দেখানো অব্যাহত রাখবে, তা দেখা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” 

ত্বরিত প্রতিক্রিয়ায় পুতিনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায় যু্ক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলোতে আমেরিকানদের নতুন বিনিয়োগ, বাণিজ্য বা অর্থায়নে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘রাশিয়া যদি এরপরও ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালায়’ তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো বিস্তৃত যেসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে এসব পদক্ষেপ সেগুলো থেকে আলাদা।

AVvXsEga1PLFHQxS2fcqLPfl16rKWp8ol00i bmSszdIZuO4WZIiapKxx63DuDs5nEMx388E

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রাশিয়ার পদক্ষেপকে ‘ইউক্রেইনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার নিদারুণ লংঘন’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাজ্য মঙ্গলবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।          

‘ঐক্য, দৃঢ়তা ও ইউক্রেইনের সঙ্গে সংহতির সংকল্প নিয়ে’ প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইউক্রেইনের সীমান্তের চারদিকে রাশিয়ার দেড় লাখেরও বেশি সেনা সমর প্রস্তুতিসহ অবস্থান নিয়ে আছে। রাশিয়া কী করতে যাচ্ছে, তা নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে ভ্লাদিমির পুতিনের এ পদক্ষেপ চলমান সংকটকে আরও গভীর করে তুলল বলে মত বিশ্লেষকদের।

ইউক্রেইনে রাশিয়া আগ্রাসন আসন্ন বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের। অপরদিকে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই বলে দাবি মস্কোর।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here