ইউরোপের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ, সহিংসতা | Protests, violence in different parts of Europe

0
313

 


ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাড়তে থাকায় আরোপ করা লকডাউনের প্রতিবাদে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, হেগে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বাজি নিক্ষেপ করেছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাইসাইকেল। এর একদিন আগেই রটেরড্যামে চলা বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠলে পুলিশ গুলি চালায়।

নতুন বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকায় অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং ইতালিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, উপমহাদেশটিতে করোনা রোগী বাড়তে থাকার ঘটনা ‘খুবই আশঙ্কাজনক’।

ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক ড. হ্যানস ক্লুজ বলেছেন, ইউরোপে পদক্ষেপ কঠিন করা না হলে আগামী বসন্ত নাগাদ আরও প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের অঞ্চলে আবারও মৃত্যুর এক নম্বর কারণ হয়ে উঠেছে কোভিড-১৯। তিনি বলেন, ভাইরাস মোকাবিলায় কী করা প্রয়োজন তা আমরা জানি- যেমন ভ্যাকসিন গ্রহণ, মাস্ক পরা এবং কোভিড পাস ব্যবহার করা।

নতুন সংক্রমণ ঠেকাতে উপমহাদেশটির বিভিন্ন দেশের সরকার নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বেশ কয়েকটি দেশে প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।

নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় রাতের মতো শনিবার বিভিন্ন শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। হেগে বিক্ষোভকারীরা বাইসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিলে দাঙ্গা পুলিশ ঘোড়া, কুকুর এবং লাঠি ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। শহরে জরুরি আদেশ ঘোষণা করেছে কর্মকর্তারা। অন্তত সাত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অস্ট্রিয়ায় লকডাউন ঘোষণার পর হাজার হাজার মানুষ রাজধানী ভিয়েনায় বিক্ষোভ করেছে। সোমবার থেকে দেশটিতে ২০ দিনের লকডাউন শুরু হচ্ছে। নিত্যপণ্য ছাড়া সব ধরণের দোকান বন্ধের পাশাপাশি মানুষকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।

ক্রোয়েশিয়ায় সরকারি কর্মচারিদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করার পর রাজধানী জাগরিবে হাজার হাজার মানুষ মিছিল করেছে। ইতালিতেও বহু মানুষের বিক্ষোভ হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here