কারাবন্দি সাবেক প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা করলো দ. কোরিয়া | The former president was pardoned. Korea

0
72

AVvXsEiHV8ouqFXX5ShhVtom2tXxj5q2Ht2s2nUx8BW4iMKPNrpk17cwYWBQM2z0Y7Ym0T81Ve3VWgrVr5CP vGCOdvXsMmH0M8VPdN6P7MNnMsCQPFLhM EfIOtHKHJxkcsuFQmsCm4WtwU2MTKMVyUmFPuRi4uiaz792I9qFusZs8DEJHQL nYBA eIjJW=s16000


দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন।

৬৯ বছর বয়সী পার্ক ২০১৮ সালে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক প্রভাব খাটানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি অভিশংসিত হন।

পার্কই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, যাকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছিল।

সাজাপ্রাপ্ত এ সাবেক প্রেসিডেন্ট চলতি বছর তিনবার কাঁধ ও পিঠের নিচের অংশে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মুন যাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তাদের মধ্যে পার্কের নামও আছে; মূলত অসুস্থতার কারণেই তার নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

মুন এর আগে পার্ককে ক্ষমা করে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন, যে কারণে শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্টের সরকারি ক্ষমা পাওয়ার এ খবর ব্যাপক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক সেনাশাসক পার্ক চুং-হির মেয়ে পার্ক জিউন-হাই ২০১৩ দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।

ব্যক্তিগত লাভের জন্য বন্ধুকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করেছেন- এমন অভিযোগে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে পার্লামেন্ট ও রাজপথে পার্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ওই বছর ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করে পার্ককে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২০১৭-র মার্চে দেশটির সাংবিধানিক আদালত সেই সিদ্ধান্তে সায় দিলে পার্ক ক্ষমতাচ্যুত হন।

২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক প্রভাব খাটানোর দায়ে পার্ককে কারাদণ্ড দেয়।

রায়ে বিচারক বলেন, পুরনো বান্ধবী চই সুন-সিলের সঙ্গে যোগসাজশে পার্ক স্যামসাং ও লোটের মত কোম্পানিকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে ৭৭.৪ বিলিয়ন উয়ন নিয়েছেন এবং ওই অর্থে চইয়ের নামে দুটি দাতব্য সংস্থা গড়ে তুলেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

পার্কের অভিশংসন মুনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সুগম করে দেয়।

আগামী বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পার্ককে ক্ষমা করে দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীল বিরোধী দল পিপলস পাওয়ার পার্টি মুনের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছিল।

জনমত জরিপগুলোতে নির্বাচনে মুনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির লি-জায়ে মিউং ও পিপলস পাওয়ার পার্টির ইয়ুন সুক-ইয়লের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here