জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী, ভোট দিয়ে বললেন আজমত উল্লা খান

0
20
গাজীপুর সিটি নির্বাচন
গাজীপুর সিটি নির্বাচন

জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান তাঁর জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী। এ আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, , ‘আজকের জয় নৌকার, নৌকারই হবে। গাজীপুরকে একটি দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গঠনের মানুষের যে প্রত্যয় তা নৌকার জয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে।’

Untitled design 41
গাজীপুর সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। ২৫ মে ছবি: সংগৃহিত

আজমত উল্লা এটাও বলেন, নির্বাচনে যে ফলাফলই আসুক না কেন, তিনি সেটা মেনে নেবেন। জনরায়ই তার কাছে মূল বিষয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টার দিকে নিজ ওয়ার্ড ৫৭ নম্বরের টঙ্গী দারুসসালাম মাদ্রাসায় ভোটকেন্দ্রে নিজের ভোট দেন আজমত উল্লা খান। ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা বলেন, ‘গাজীপুর সিটির মানুষ দীর্ঘ দশ বছর ধরে হতাশ। তাই তারা সকাল থেকে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটে সাড়া দিচ্ছেন। তাই সবার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
আজমত উল্লা খান বলেন, ‘আজকে একটি সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকে শত শত মানুষ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সুতরাং যারা অপপ্রচার চালিয়েছিলেন যে, ভোটাররা কেন্দ্রে আসবে না বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না, তারা আজ জবাব পেয়ে গেছেন।’

আজমত উল্লা খান আরও বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মী হিসেবে সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম, জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছি। তাই আজকেও জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন তাকে মেনে নিব। তবে আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

Untitled design 42
টঙ্গী দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছেন গাজীপুর সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান । ২৫ মে ছবি: সংগৃহিত

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি। আর ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি

ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রেই স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ৪৮০টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সব কটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। ভোট সুষ্ঠু করতে সব কটি কেন্দ্রেই স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

Untitled design 43

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।

গাজীপুর সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৩২ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন

সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন ১৭ জন।

প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে মোট ৫৭টি মোবাইল ফোর্স, ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১টি করে মোট ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় ১টি করে মোট ৮টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১টি করে ৩০টি র‌্যাবের টিম এবং ৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১ প্লাটুন করে ১৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

গতকাল বুধবার বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। গাজীপুর সার্কিট হাউসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

মতবিনিময় সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের ভোট প্রদান করতে পারবেন। আলাদা চ্যালেঞ্জ নয়, সব ইলেকশনই সমান গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা সেট হয়ে গেছে।’ আজ সকাল থেকেই মনিটর করা হবে বলেও তিনি জানান।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। টানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শেষ সময়ে যাঁরা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের ভোট বেশি সময় লাগলেও নেওয়া হবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসির ‘পরীক্ষা’ শুরু

ক্ষমতাসীন দলের প্রতিপক্ষ বিএনপি ভোটে নেই। এরপরও গাজীপুরের ভোটকে ইসির জন্য একধরনের ‘পরীক্ষা’ বলে নির্বাচন বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

Untitled design 44
গাজীপুর সিটি নির্বাচন

২০১৮ সালে ‘নিয়ন্ত্রিত’ পরিবেশে দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেটি নিয়েও ছিল বিতর্ক। এবারও জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাঁচ সিটির ভোট। যার শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে। আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় এই সিটি করপোরেশন।

২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনের সঙ্গে এবারের নির্বাচনের বড় পার্থক্য হলো ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ভোটে নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে দলটি অংশও নেয়নি। ফলে এখন পর্যন্ত বর্তমান কমিশনকে খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন পরিচালনা করতে হয়নি। তবে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ক্ষমতাসীনদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাই গাজীপুরের ভোটকে বর্তমান ইসির জন্য একধরনের ‘পরীক্ষা’ বলে নির্বাচন বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। তাঁদের মতে, ইসির আস্থা অর্জনের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে এই নির্বাচন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here