ধনিয়া গুড়া ইতিহাস ও উপকারিতা

0
45
ধনিয়া গুড়া
ধনিয়া গুড়া ইতিহাস ও উপকারিতা

ধনিয়া বা ধনে (বৈজ্ঞানিক নাম): (Coriandrum sativum)একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। এটি একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। এর বীজ থেকে বানানো তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়। বঙ্গ অঞ্চলের প্রায় সর্বত্র ধনের বীজ খাবারের মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ধনের পাতা এশীয় চাটনি ও মেক্সিকান সালসাতে ব্যবহার করা হয়।

ধনিয়া গুড়া বিবরণ
ধনে বীরুৎ জাতীয় তৃণ। এর পাতা ছোট, সবুজ, মসৃণ হয়। ডালপালা অনেক হয় ও দেখতে সরু।ছোট ছোট থোকায় থোকায় সাদা ফুল ফোটে। ফুল থেকে দানাকৃতির ফল হয়। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ হয়।

গুনাগুণ

  • পেটের সমস্যা দূর করে।
  • চুল ওঠা ও খুসকির সমস্যা দূর করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে।
  • ধনিয়া পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথা কমায়।

শীত পড়তে শুরু করেছে। এরইমধ্যে বাজারে উঠে গেছে ধনেপাতা। অনেকেই তরকারির স্বাদ বাড়াতে ধনেপাতা ব্যবহার করেন। আবার ভর্তায়ও জায়গা করে নেয় এই সুগন্ধি পাতা। এ তো গেল রসনাবিলাসের কথা। কিন্তু জানেন কি, খাবারে স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধনেপাতার রয়েছে একগুচ্ছ ঔষধি গুণ।

হেমন্তের হিমের পরশের সঙ্গে বাজারে উঁকি মারতে শুরু করেছে শীতের অতিথিরা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচা তেঁতুল, শিমের সঙ্গে দোকানীর ঝুড়ি উপচে উঠছে টাটকা ধনেপাতায়।

ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে বিরল ঔষধি নানা উপাদান যা রক্ত শোধন করে। খাদ্যাভ্যাসের দরুণ আমাদের শরীরে রোজ তিলে তিলে জমা হতে থাকে বেশ কিছু ভারী ধাতু এবং বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থ।
এর থেকে শরীরে বহু দূরারোগ্য অসুখ যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, মস্তিষ্কের বিভ্রাট, মানসিক রোগ, কিডনি ও ফুসফুসের অসুখ এবং হাড়ের দুর্বলতা তৈরি হতে পারে। ধনেপাতা রক্তপ্রবাহ থেকে এই সমস্ত ক্ষতিকর উপাদান দূর করে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

ধনেপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ। এছাড়া ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে-র জোগান দেয় এই পাতা। শুধু তাই নয়, এই উদ্ভিদ অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাংগাল এবং যে কোনও চুলকানি ও চামড়ার জ্বলনে অব্যর্থ ওষুধ। দিল্লির এইমস-এর গবেষণাগারে রিউম্যাটিক আর্থারাইটিস রোগে আক্রান্ত ইঁদুরের পায়ে ধনেপাতার রস প্রবেশ করালে তার শরীরের জ্বলন ও ফোলা ভাব দূর হতে দেখা গিয়েছে।

ধনিয়া পাতা খাওয়ার উপকারিতা

চোখ পুষ্টিঃ

ধনিয়া পাতায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। যা আপনার দেহের সংযোগকারী টিস্যু গঠনে এবং সংরক্ষণে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি আপনার রক্তনালীগুলিকে নমনীয় রাখে, এতে আপনার চোখ সুস্থ থাকে। ধনিয়া পাতায় পাওয়া আরেকটি উপকারী পুষ্টি হল বিটা ক্যারোটিন।এটি একটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি পিগমেন্ট যা বিভিন্ন উদ্ভিদ জাতীয় খাবারে পাওয়া যায়, যা আপনার শরীর ভিটামিন এ তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারে।

রক্তে শর্করাকে কমাতে সাহায্য করেঃ

ধনিয়া বীজ, নিষ্কাশন এবং তেল সমস্ত রক্তে শর্করাকে হ্রাস করতে সহায়তা করে। প্রকৃতপক্ষে, যাদের রক্তে শর্করার কম রয়েছে বা ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করা উচিত তাদের ধনিয়া দিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত কারণ এটি রক্তে শর্করাকে হ্রাস করতে এত কার্যকর।প্রাণী অধ্যয়নের পরামর্শ দেয় যে ধনিয়া বীজ রক্ত থেকে চিনির অপসারণ করতে এনজাইম ক্রিয়াকলাপ প্রচার করে রক্তে শর্করাকে হ্রাস করে

প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ

ধনিয়া বেশ কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সরবরাহ করে, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলির কারণে সেলুলার ক্ষতি প্রতিরোধ করে।অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি আপনার শরীরে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। টেস্ট-টিউব এবং অ্যানিম্যাল স্টাডিজ অনুসারে এই যৌগগুলির মধ্যে টের্পিনিন, কোরেসেটিন এবং টোকোফেরল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে অ্যান্ট্যান্সার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ।একটি টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ধনিয়া বীজের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি প্রদাহ হ্রাস করে এবং ফুসফুস, প্রোস্টেট, স্তন এবং কোলন ক্যান্সারের কোষগুলির বৃদ্ধি ধীর করে দেয়।

হার্ট কে সুস্থ রাখেঃ

ধনিয়া হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলি যেমন উচ্চ রক্তচাপ এবং এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে পারে।ধনিয়া নিষ্কাশন একটি মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে বলে মনে হয়, আপনার শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং জলের ফ্লাশকে সহায়তা করে। অনেক লোক দেখতে পান যে ধনিয়া জাতীয় মশলা খাওয়া তাদের সোডিয়াম গ্রহণ কমাতে সহায়তা করে যা হৃদয়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।

মস্তিষ্ক কে সুস্থ রাখেঃ

একটি ইঁদুর সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ধনিয়া এক্সট্রাক্ট ড্রাগ-প্ররোচিত খিঁচুনির ফলে স্নায়ু-কোষের ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষিত ছিল সম্ভবত এটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে।ধনিয়া এর প্রদাহ বিরোধী গুণাবলী এই রোগগুলির বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে।ধনিয়া পাতাতে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় ।প্রাণীজ অধ্যয়ন প্রমাণ করে যে ধনিয়া নিষ্কাশন এই অবস্থার লক্ষণগুলি হ্রাস করার জন্য ডায়াজেপাম হিসাবে একটি সাধারণ উদ্বেগের ওষুধ হিসাবে প্রায় কার্যকর।

হজম শক্তি বাড়ায়ঃ

ধনিয়া বীজ থেকে উত্তোলিত তেল স্বাস্থ্যকর যা হজমকে ত্বরান্বিত করতে এবং প্রচার করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে একটি ধনিয়াযুক্ত ভেষজ ঔষধের ৩০ ফোঁটা প্রতিদিন তিনবার খেলে পেটের ব্যথা, ফোলাভাব এবং অস্বস্তি হ্রাস পেয়ে যায়,

সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইঃ

ধনিয়াতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ রয়েছে যা নির্দিষ্ট সংক্রমণ এবং খাদ্যজনিত অসুস্থতাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে।ধনিয়াতে মিশ্রিত ডোডেনসাল সালমনেল্লার মতো ব্যাকটেরিয়াগুলির সাথে লড়াই করতে পারে।ধনিয়া তেল অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ফর্মুলেশনে ব্যবহার করা উচিত।

ধনে পাতা খাওয়ার মারাত্মক কয়েকটি ক্ষতি :

লিভারের ক্ষতি: অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে এটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এতে থাকা এক ধরনের উদ্ভিজ তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে ফেলে। এছাড়া এটাতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। কিন্তু দেহের মধ্যে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতিসাধন করে।

নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি: অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে হৃৎপিন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। চিকিৎসকরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে অতিরিক্ত খেলে সেটা নিম্ন রক্তচাপের সৃষ্টি করে। এছাড়া এটি মাথাব্যথারও কারণ হতে পারে।

পেট খারাপ: স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে থাকে। কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা খেলে পাকস্থলীর হজমক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে। এক গবেষণা বলছে, সপ্তাহে ২০০ গ্রামের বেশি ধনেপাতা খেলে তা গ্যাসের ব্যথা, পেটে ব্যথা, পেট ফোলা, বমি হওয়া এমনকি ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট বাড়ায়: শ্বাসকষ্টের রোগীদের ধনেপাতা খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেন চিকিৎসকরা। কেননা এটি শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা করে। যার ফলে ফুসফুসে অ্যাজমার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। শ্বাসকষ্টের রোগীরা ধনেপাতা খেলে ছোট ছোট নিঃশ্বাস নিতেও সমস্যা তৈরি হয়।

বুকে ব্যথা: অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না তা দীর্ঘস্থায়ীও করে।এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম পরিমাণে ধনেপাতা খেতে পারেন।

ত্বকের সংবেদনশীলতা: সবুজ ধনেপাতাতে মোটামুটিভাবে কিছু ঔষধি অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যেটি ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ত্বক ভিটামিন ‘কে’ থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া ধনেপাতা ত্বকে ক্যানসারও তৈরি করে থাকে।

So,আজকে এই পর্যন্ত । আশা করি ”ধনিয়া” নিয়ে লেখাটি আপনার ভালো লাগেছে ।
আপনি যদি 100% ভেজাল মুক্ত ধনিয়া গুঁড়া নিতে চান,তাহলে হলি ফুড্স ভালো মানের পণ্য বিক্রয় করে । আপনারা নিরভয়ে যাবতীয় মসলা নিতে পারেন ।
হলি ফুড্স এর ম্যানেজার এর নম্বর : 01781-471177

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে ডেলিভারি করা হয়!
তাই দেরি না করে এখনি অর্ডার করুন

হলি ধনিয়া গুড়া জার ১০০ গ্রাম (click now)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ।

https://holyfoods.net/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here