পতন আঁচ করতে পেরেই সরকার তীব্র মাত্রায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ঢাকার ধানমন্ডিতে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার ঢাকার আগে খুলনা, পটুয়াখালী, নেত্রকোনা, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী সরকার তাদের দুঃশাসনকে আড়াল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই ঘৃণ্য হামলা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার-দলীয় সন্ত্রাসীরা যে পৈশাচিক তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে, তা নজিরবিহীন। তাদের হামলায় অনেকে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আবার অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদ না থাকলে প্রশাসন, দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা এমন নৃশংস কর্মকাণ্ড সংঘটন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে কয়েক দিন ধরে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নেতা-কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, মিথ্যা মামলাসহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, সারা দেশকে নিরাপত্তাহীনতার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের পতন আঁচ করতে পেরেই এখন আরও তীব্র মাত্রায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধানমন্ডি থেকে আসা বিএনপির পদযাত্রা সায়েন্স ল্যাব এলাকায় আটকে দেয় পুলিশ। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের লাঠিপেটার পর ইটপাটকেল ছুড়ে জবাব দেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
এ ঘটনা নিয়ে রাতে এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, পুলিশের হামলা, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটে তাঁদের বহু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ধানমন্ডি থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, ধানমন্ডি থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনির সিকদার, সদস্য লিটন মোল্লা, মুগদা থানা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মজিবর মোল্লা, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জিয়াউর রহমান, নিউমার্কেট থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আউয়াল আহমেদ ও ছাত্রদল নেতা আবুল বাশার, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক রয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২৫ জনের বেশি বিএনপির নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম, ধানমন্ডি থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, থানা বিএনপির সাবেক সদস্য রাইসুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাওন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড নেতা মালেক, নিউমার্কেট থানা বিএনপি নেতা আবদুল মালেক, হাজারীবাগ থানার ২২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ, নিউমার্কেট থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রানা রয়েছেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম কর্মসূচিতে হামলার ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
কষ্টের কথা বলতে গেলেই বাধা : নজরুল ইসলাম খান
কষ্টের কথা বলতে গেলেই বাধা শ্রমিক, কৃষক, দোকানদার, কর্মচারীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের নিম্নপদস্থ মানুষ কষ্টে আছে। কারণ, প্রতিদিন জিনিসের দাম বাড়ছে। বিপরীতে বেতন-ভাতা বাড়ছে না।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতার দাবি, সংসার চালানোর এই কষ্টের কথা বলতে গেলেই সরকার বাধা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের দাবি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো নির্যাতন–নিপীড়ন, হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আজ ঢাকার দুই এলাকায় বিএনপির দুটি পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল। অন্যটি ছিল ধানমন্ডিতে।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতে নির্বাচন কমিশনের কাজ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না, আমাদের এখানে হয়। কারণ, আমাদের এখানে নির্বাচন কমিশন অনুগত লোকদের দিয়ে করানো হয়। তারা সুষ্ঠু কাজটি করতে পারে না। করে না। সেই জন্য প্রতিবাদ করা হয়। যতক্ষণ না নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে, সে পর্যন্ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক লড়াই চালিয়ে যেতে তিনি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আগের রাতের ভোটে নির্বাচিত সংসদ বাতিল করা হোক। ওই সংসদের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছে, আইনত ওই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ চাই—এসব দাবি কি অন্যায়? আমরা চাই, আমাদের ভোটে সরকার নির্বাচিত হয়ে আমার কাছে জবাবদিহি করুক, দায়বদ্ধ থাকুক।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) বলেছেন—ফাইনাল খেলা নির্বাচনে হবে। ফাইনাল খেলা যদি নির্বাচনে হয়, সেই ফাইনাল খেলায় নিরপেক্ষ রেফারি লাগবে। আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা না কি নিরপেক্ষ রেফারি? তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।
আগারগাঁও লিংক রোডের ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের সামনে পুলিশের সদস্যরা আগেভাগে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, যাতে পদযাত্রা নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগোতে না পারেন। পরে মিছিলটি আগারগাঁওয়ের দিকে ঘুরে গিয়ে বাংলাদেশ বেতারের সামনে এসে শেষ হয়।
পদযাত্রা কর্মসূচির আগে গাবতলীতে খালেক এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাস কাউন্টারের সামনে রাস্তায় খোলা ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে ঢাকায় প্রবেশের পথে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে গাবতলী থেকে মাজার সড়কের দিকে যানবাহন যেতে না পারায় আমিনবাজারের দিকে যাওয়ার পথেও যানজট দেখা গেছে।
পরে বিকেল পৌনে চারটার দিকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। প্রদযাত্রার সম্মুখভাগে প্রথমে নারী দল, এরপর যুবদল ও ছাত্রদল এবং শেষের দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা ছিলেন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে পদযাত্রার অগ্রভাগ শ্যামলীর-আগারগাঁও লিংক রোড সড়কে পৌঁছায়। এ সময় কোনো যানবাহন কলেজগেট-আসাদগেট দিয়ে আসতে পারেনি।
বিএনপি নেতা চাঁদের ভাইসহ ৫ জন গ্রেফতার: রিজভী
বিএনপি নেতা চাঁদের ভাইসহ ৫ জন গ্রেফতার রিজভী বলেন, ‘ছাত্রলীগের হামলায় আবিরকে আহত করেছে। তিনি এখন রাজশাহী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীরা আজ যশোর জেলাধীন মেলান্দহ বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে না পেয়ে তার আপন ছোটভাই মুক্তা, বড় মেয়ের স্বামী জেলা যুবদলে যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া এবং আবু সাঈদ চাঁদের পিএস জালালের স্ত্রী, শাশুড়ি ও ছোটভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’
মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর নয়া পল্টনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিএনপিনেতা আবু সাঈদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে।
তিনি জানান, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হুদা, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রাজন আলী, ২৮ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. শুক্কুর আলীসহ মোট ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য নুরুউদ্দিন আবিরকে ‘সন্ত্রাসীরা’ পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম লিপন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হাসান আলাল, যুগ্ম সম্পাদক মিরাজুজ্জামান রবিন ও সদর পৌর যুবদল নেতা কেনান হক্কানীকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু’র সঙ্গে কোর্টে দেখা করতে গেলে কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য নাসির উদ্দীন মিলনকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এছাড়া ময়মনসিংহ, নওগা, কৃষ্টিয়া থেকে বেশ কয়েকজন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, বলে জানান বিএনপিনেতা রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমান আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমুখী সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চাই। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি ঘরে ফিরবে না।’
‘পরাজয়ের বার্তা যদি সরকার না বোঝে তাহলে আরও বড় দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। এই বার্তা যদি সরকার বুঝতে না পারে, তাহলে তাদের জন্য আরও বড় দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। তারা রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে কবরে চলে গেছে। নতুন করে তাদের আর কবরে নেওয়ার দরকার নেই।’
আমির খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আজ জেগে উঠেছে। পুলিশি তৎপরতা, গ্রেফতার, খুন, মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, গুম, নির্যাতন করে মানুষের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। যত হামলা হবে, যত বেশি গ্রেফতার করা হবে, তত বেশি আন্দোলন জোরদার হবে। বেশি হামলা করলে, বেশি মামলা করলে বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। বাড়াবাড়ি বেশি করলে দেশের মানুষও তাড়াতাড়ি তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে।’
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকালে চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা মোড়ে মহানগর বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তার নেতৃত্বে নগরের সাগরিকা মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করে পোর্ট কানেক্টিং রোড হয়ে সরাইপাড়া মোড় হয়ে নয়া বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা সবাই প্রস্তুত হন। শেষ পর্যন্ত লড়তে হবে। আমরা প্রয়োজনে প্রতিরোধ করবো। জীবন দিয়ে হলেও এ দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো। জীবন দিয়ে হলেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সভাপতিত্বে ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তি এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মঞ্জুর আলম চৌধুরীর পরিচালনায় পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
তিনি বলেন, ‘রাজপথ ছাড়া দ্বিতীয় কোনও পথ নেই। বিএনপির কর্মসূচিতে মানুষের জোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ আজ অসহায় হয়ে গেছে। পুলিশের পিছে পিছে ঘুরছে। আর ছুরি, লাঠি, দা নিয়ে তারা শান্তি সমাবেশ করছে। তারা নাকি জনগণের সম্পদ রক্ষা করবে।’