ফেসবুকের ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় স্পর্শের অনুভূতি মিলবে কীভাবে, দেখালেন জাকারবার্গ | Zuckerberg shows how to feel the touch in the virtual world of Facebook

0
105

 

AVvXsEioo13ljxIfvtiF0zDAmUFWhs2WIf8mYciRHz4fMzHEYDfRKH 8ots4YsZq3tUssO8b4VISxCbNoGFi0dE1yvWEEug7AQk D Vpv7AVbipgtaxPHh2DFW7E9P1GlP24CqH M21Tt8Ba p6j39bLLnudpJTHId6Hm9FT7BXLC5LnNtZ7x Xz D BZcn=s16000

মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকের ভবিষ্যৎ হলো মেটাভার্স। ত্রিমাত্রিক এই ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় ব্যবহারকারীরা এমনভাবে কথোপকথন চালাতে কিংবা কাজে অংশ নিতে পারবেন, যেন একে অপরের ঠিক পাশেই আছেন। এখন তিনি বলছেন, সে জগতে কেবল দেখা কিংবা শোনা নয়, মিলবে স্পর্শের অনুভূতিও। সে জন্য হাতে থাকতে হবে বিশেষ প্রযুক্তির গ্লাভস বা দস্তানা। সে গ্লাভস কীভাবে কাজ করবে, গতকাল মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তা-ও দেখিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান দ্য রিয়েলিটি ল্যাবস এই গ্লাভস তৈরি করছে। এরই মধ্যে একটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ (প্রোটোটাইপ) দেখিয়েছে তারা, যেটি হাতে থাকলে ভার্চ্যুয়াল বস্তু হাতে নেওয়ার অনুভূতি মিলবে। সমন্বিত অভিজ্ঞতার জন্য ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) হেডসেটের সঙ্গে গ্লাভসটি বাজারজাত করা হতে পারে। আর ভবিষ্যতে অগমেনটেড রিয়েলিটি (এআর) গ্লাসের সঙ্গে ব্যবহারোপযোগী করে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। এই ভিআর ও এআর প্রযুক্তির সাহায্যেই পরিচালিত হবে ভবিষ্যতের মেটাভার্স।

AVvXsEgaeENitqAc8jdXjlzYgCoKMbIM4iM2HrndWMRDdGWM30DWbHUrU5VlPCnrEaAa4sj9Y7kFdUfLFzMfoV3 KKGJ0keLVjlK U2vC84pyJiRA2wWeJA6oDpQO88oMy32er67MXEu9dtfcR4sQ4Z 3tA4MCBuo3AkVNYViYgtujj0ySMrgoIWHHZTDz U=s16000


গতকাল মঙ্গলবার গ্লাভসটির কারিগরি খুঁটিনাটি প্রকাশ করে মেটা। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য অনুযায়ী, ৭ বছর ধরে গ্লাভসটি তৈরিতে কাজ করছে রিয়েলিটি ল্যাবস। তবে কবে নাগাদ পূর্ণাঙ্গ গ্লাভস বিক্রি সম্ভব হবে, তা এখনো তাদের অজানা। এক বিবৃতিতে মেটা জানিয়েছে, গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও তাদের লক্ষ্য মূলত আরও সমন্বিত অভিজ্ঞতার জন্য ভিআর হেডসেটের সঙ্গে গ্লাভস যুক্ত করা।

মেটার শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, গ্লাভসটি পরিধানকারীর হাতে এমন অনুভূতি তৈরি করে, যার মাধ্যমে বাস্তব বস্তুর ভর এবং স্পর্শ পাওয়া সম্ভব। গ্লাভসে যুক্ত থাকছে প্লাস্টিকের তৈরি ছোট ছোট মোটর যা অ্যাকচুয়েটর নামে পরিচিত। এগুলোর মাধ্যমেই পরিধানকারীর হাতে ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় কোনো কিছু ধরার অনুভূতি মিলবে। সেটা হতে পারে বল ছুড়ে দিয়ে ধরা, আবার কারও সঙ্গে করমর্দন করা। ব্যাপারটা এমন যে দুই বন্ধু ২০০ কিলোমিটার দূরে নিজ নিজ ঘরে বসে থেকেও একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করতে পারবেন। তা-ও আবার যথারীতি হাত নাড়িয়ে।


গ্লাভসটি কাজ করে মাইক্রোফ্লুইডিকসের সাহায্যে, এর মাধ্যমে বাতাসের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাকচুয়েটরগুলোকে নাড়ানো যায়। পাশাপাশি হ্যান্ড-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে মেটা।

রিয়েলিটি ল্যাবসের প্রকৌশলী ক্যাথেরিন হিলি বলেন, ‘এখন দক্ষ প্রকৌশলীরা প্রতিটি গ্লাভস আলাদা করে তৈরি করছেন, যেখানে যন্ত্রাংশ তৈরি করে সেগুলো জুড়ে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে হাতে হাতে। সম্ভব হলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আধা স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিকই, তবে বিপুল পরিমাণ এই গ্লাভস তৈরির জন্য আমাদের সম্পূর্ণ নতুন উৎপাদনপ্রক্রিয়া উদ্ভাবন করতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here