ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৬ নং ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের বিশ্রাম পুর গ্রামের হত দরিদ্র বাইসাইকেলের মেকার জব্বার আলীর ঘরে একে একে চারটি সন্তানই প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেন।
জানা যায় ঐ গ্রামের বাইসাইকেল মেকার একজন হতদরিদ্র। পরিবারের আলোর মুখ দেখতে তিনি চারটি সন্তান নেন বড় সন্তান লথিফা আক্তার (২৪), মেঝো সন্তান আব্দুল সামাদ(১৮) এবং ছোট দুই জন জমজ জেসমিন (১৪)ও জসিম (১৪)।
চার প্রতিবন্ধী সন্তানের জননী সুফিয়া বেগম(৪৫) বলেন, আমার চারটি সন্তান জন্মগত প্রতিবন্ধী আমি এক অভাগিনী বিয়ের পর প্রথম সন্তান জন্ম গ্রহণ করে মেয়ে কিন্তু জন্মের পরে দেখা যায় শারীরিক প্রতিবন্ধী এভাবে চারটি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে প্রতিবন্ধী হিসেবে।
তারপর আমরা শ্বামী ও স্ত্রী চিন্তা করছি কি হবে আমাদের সংসারে।
পাঁচ বছর আগে আমার দেবর শাহাজাহান আলীর একটি ছেলে মোস্তফা মাসুদ কে পোশ্য হিসেবে নেই। এভাবেই চলছে আমাদের সংসার আমি চিন্তা করছি আমরা তো বৃদ্ধ হতে চলছি আমরা মারা গেলে পরবর্তীগে কি হবে আমার চারজন সন্তানের।
সরকারি ভাতা ও সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
চার প্রতিবন্ধী সন্তানের পিতা জব্বার আলীর কাছ প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এক এক করে চারটি সন্তান নিলাম কিন্তু ভাগ্য আমার এতো খারাপ চারটি সন্তানই জন্মগত ভাবে প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম গ্রহণ করে।
সরকারি সুবিধা বিষয় তিনি বলেন, চারজনই প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে কিন্তু সেই অর্থ দিয়ে তাদের চিকিৎসাই হচ্ছে না । আমি চারটি সন্তান নিয়ে খুব অসহায় আছি। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমার চারটি সন্তানের জন্য বিশেষ কোন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য।
৬ নং ভানোর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জব্বার আলীর চারটি সন্তানই প্রতিবন্ধী এটা আসলেই খুব দুঃখজনক। তবে চারটি
সন্তান প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে কিন্তু তাদের পরিবারে সেই টাকা দিয়ে সমবেতের জীবন যাপন করছে। তাই এলাকার বৃত্তবান ও সরকারি ভাবে আরও কিছু সুবিধা পেলে জব্বারের পরিবারটা হয়তো একটু সচ্ছল ভাবে চলতে পারবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ফিরোজ সরকার বলেন, আমরা তাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করছি এবং যদি অসুস্থ হয় তাহলে চিকিৎসা বাবদ সরকারি ভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।