মরিচ গুড়ার ইতিহাস ও মরিচ গুড়ার উপকারিতা

0
40
মরিচ গুড়া

মরিচ বা লংকা (বাংলা উচ্চারণ: (মরিচ) এক প্রকারের ফল যা মসলা হিসাবে ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ক্যাপসিকাম (Capsicum) গণের সোলানেসি (Solaneceae) পরিবারের উদ্ভিদের ফলকে সাধারণভাবে মরিচ বলা হয়ে থাকে। মরিচের ফলকে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

শুকনা মরিচ গুড়া
মরিচের আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশে। তবে বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্র রান্না ও ঔষধি হিসাবে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

নামকরণের ইতিহাস

ফলটির নাম ‘লংকা’ বা ‘লঙ্কা’ হওয়ার কারণ সম্ভবত শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানি হবার কারণে।

মরিচ গুড়ার ইতিহাস

মরিচ অতি পরিচিত মসলা। মরিচের আদি নিবাস মেক্সিকো হলেও বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এর চাষ হয়ে থাকে। মরিচ শত শত বছর আগে থেকে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন মানুষ বাটা মরিচের পরিবর্তে বাজারে পাওয়া যায় এমন প্যাকেট জাত গুঁড়া মরিচ রান্নার কাজে ব্যবহার করছে। এই মশলার উপকরণটি আমাদের দক্ষিন এশিয়ার সংস্কৃতি, ধারা, অনুষ্ঠান-পর্বের সাথে আত্মিক ভাবে জড়িত।

তো চলুন বিস্তারিত জেনে নি :

প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। ইকুয়েডর এর দক্ষিণ পশ্চিমাংশে পুরাতাত্ত্বিকেরা ৬০০০ বছর আগে মরিচ চাষের প্রমাণ পেয়েছেন।

মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশে মরিচের চাষ করা হতো প্রাচীন কাল থেকেই।
ইউরোপীয়দের মধ্যে ক্রিস্টোফার কলম্বাস প্রথম ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে মরিচের দেখা পান। ভারতবর্ষে উৎপন্ন গোল মরিচের মতো ঝাল বলে তিনি এগুলোকে Pepper নাম দেন। অবশ্য গোল মরিচের গাছের সাথে মরিচ গাছের সম্পর্ক নেই।

কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পর থেকে মরিচ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।দিয়েগো আলভারেজ চানকা নামের একজন চিকিৎসক কলম্বাসের দ্বিতীয় অভিযানের সময়ে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ হতে মরিচ স্পেনে নিয়ে আসেন। তিনি ১৪৯৪ সালে মরিচের ঔষধী গুনাগুণ নিয়ে প্রবন্ধ লিখেন।

স্পেনীয় ব্যবসায়ীরা মেক্সিকো থেকে মরিচ এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।প্রথমে ফিলিপাইন্স, এবং তার থেকে ভারতবর্ষ, চীন, কোরিয়া, ও জাপানে মরিচ বিস্তার লাভ করে। ঝাল ও স্বাদের জন্য অচিরেই এটি এশিয়ার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় খাবারের অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়।

মরিচের বহুল প্রচলিত প্রজাতি গুলো হলোঃ

  • ক্যাপসিকাম অ্যানুম, যার মধ্যে অনেক সাধারণ জাত রয়েছে যেমন বেল মরিচ, পেপারিকা, কেয়েন, জালাপেনোস এবং চিল্টেপিন
  • ক্যাপসিকাম ফ্রুটসেন্স, যার মধ্যে টাবা জাতের মরিচ রয়েছে।
  • ক্যাপসিকাম চিনেন্স, এর মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে ঝাল মরিচ, যেমন নাগা মরিচ (বাংলাদেশ ও পূর্বভারতে চাষ হয়), হাবানেরো, দাতিল ও স্কচ বনেট
  • ক্যাপসিকাম পিউবেসেন্স, দক্ষিণ আমেরিকার রোকোটো মরিচ
  • ক্যাপসিকাম ব্যাকাটাম

মরিচ গুড়ার উপকারিতা

১) লাল মরিচের ক্যাপসাইসিন উপাদান আপনাকে মোটা হওয়া থেকে রুখবে, যত বেশি শুকনা মরিচ তত শুকনা!

২)খিদে কমাবে। এই ক্যাপসাইসিন উপাদানটি আপনার ক্ষুধা কমিয়ে আনবে। সবসময় একটি পেট ভরা অনুভূতি কাজ করবে।

৩)উচ্চরক্ত চাপ কমাতেও একটি ভালো ভূমিকা পালন করবে এই মরিচ। এর অন্যতম উপাদান আঁশ যা রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।

৪) হজম শক্তি বাড়ায়। আঁশ জাতীয় খাবার হওয়ার কারণে হজম বাড়ে।

৫) গিটে গিটে ব্যথা কমায়, মরিচে থাকা ভিটামিন-ই ব্যাথা কমানোর কাজ করে।

৬) লাল মরিচে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস কোলন ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার রোধে কাজ করে।

৭)লাল মরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় এটি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতেও কাজ করে।

So,আজকে এই পর্যন্ত । আশা করি ”মরিচ” নিয়ে লেখাটি আপনার ভালো লাগেছে ।
আপনি যদি 100% ভেজাল মুক্ত মরিচ গুঁড়া নিতে চান,তাহলে হলি ফুড্স ভালো মানের পণ্য বিক্রয় করে । আপনারা নিরভয়ে যাবতীয় মসলা নিতে পারেন ।
হলি ফুড্স এর ম্যানেজার এর নম্বর : 01781-471177

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে ডেলিভারি করা হয়!
তাই দেরি না করে এখনি অর্ডার করুন
https://holyfoods.net/holy-chili-powder-jar-box-100-gm/

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ।

https://holyfoods.net/