‘সরকারের হাতে খরচ করার মতো টাকাও নেই, ডলারও নেই’

0
78
সরকারের হাতে খরচ করার মতো টাকাও নেই

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মানজমিনের প্রথম পাতার খবর, “সরকারের হাতে খরচ করার মতো টাকাও নেই, ডলারও নেই”। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে।

সেখানে তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের মরিয়া চেষ্টা দেখা গেছে। সরকারের হাতে খরচ করার মতো টাকাও নেই, ডলারও নেই। সেহেতু খরচ করার টাকা সংগ্রহ করতে চাচ্ছে।

মি. ভট্টাচার্যের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে প্রথম পাতায় খবর করেছে দেশ রূপান্তর, তাদের শিরোনাম “বাজেটে গরিবরা একেবারে অদৃশ্য : সিপিডি”। ওই অনুষ্ঠানে মি. ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন বাজেট সবার জন্য।

‘বাজেট সবার জন্যই হয়। যেহেতু সম্পদ সীমাবদ্ধ, অতএব কার পক্ষে বেশি সম্পদ বরাদ্দ করা হলো বা বেশি সম্পদ কীভাবে ব্যবহার করা হলো তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবার বাজেটের আগে কাকে নিয়ে বসা হয়েছে জানি না। বাজেটে অংশীজনদের অংশগ্রহণ নেই,’ বলেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

“ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো ডলারের দাম নিচ্ছে”- ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের এই বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে খবর করেছে নয়া দিগন্ত।

একই বিষয়ে ইত্তেফাকের খবর, “ব্যাংকগুলো ডলারের বিনিময় হারের নামে লুটপাট চালাচ্ছে”।

খবর দুটিতে মূলত বলা হচ্ছে,ব্যাংকগুলো বর্তমানে এক ডলারের বিপরীতে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। লুটের মালের মতো যেভাবে পারছে, তারা (ব্যাংক) সেভাবে ডলারের দাম নিচ্ছে। তিনি আরো বলেছেন, ন্যূনতম দুই হাজার টাকার আয়কর নেয়াটা যৌক্তিক।

বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনীতি গত ৪০ বছরেও এমন সংকট দেখিনি। এমনকি করোনার মধ্যেও এমন পরিস্থিতির শিকার কেউ হয়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে ততোই আলোচনায় আসছে প্রধান দুই দলের সংলাপ প্রসঙ্গ। এ নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, “বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিলে আলোচনায় বসবে আ. লীগ”।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিলে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এর আগে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে চায় না ক্ষমতাসীনরা।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানোয় অসন্তুষ্ট হয়েছেন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যকে এলোমেলো বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

অন্যান্য পত্রিকা যা বলছে সরকারের হাতে খরচ করার মতো টাকাও নেই এই কথা নিয়ে

দ্য ডেইলি স্টার।

সরকারের হাতে খরচ করার মতো টাকাও নেই ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, “External Forces won’t put BNP in power”। খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, কোনো বহিরাগত শক্তিই বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, বরং তারা দলকে তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে।

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা মনে করে যে কেউ অন্য কোথাও থেকে এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। এ জন্য তারা আনন্দিত, এমনটা কেউ করবে না। তারা তাদের ব্যবহার করবে, কিন্তু তাদের ক্ষমতা দেবে না ‘সরকারের হাতে খরচ করার মতো টাকাও নেই, ডলারও নেই’ ।’

বাংলাদেশে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ ঘটনা বন্ধে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে জরুরি উদ্যোগ নিতে গত ২৫শে মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসের ছয় সদস্য।

সেই ঘটনার আপডেট নিয়ে কালবেলার প্রধান শিরোনাম, “ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠির আসল রহস্য”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, লিন্ডেন এনার্জি নামের একটি মার্কিন কোম্পানিকে বাংলাদেশ থেকে এলএনজি সরবরাহের বড় ব্যবসা পাইয়ে দিতে দেশটির রাজনীতিকরা কয়েক বছর ধরে তৎপরতা চালাচ্ছে।

কোম্পানিটি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধায় শুল্কমুক্ত কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানের চাইতে কম শুল্কে এলএনজি সরবরাহের সুযোগ চেয়েছিল। মৌখিত লিখিতভাবে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারা।

এসব চিঠি ও আলোচনায় কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাণিজ্য সুবিধা পেলে বাংলাদেশের র‍্যাব ও এর কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে কাজ করা হবে।

কালের কণ্ঠ

এদিকে বিদ্যুত সংকট নিয়ে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, “লোডশেডিং আরও বেড়েছে, ফার্নেস অয়েল মজুত নিয়েও শঙ্কা”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মার্চ মাসে পিডিবি চাহিদা দিলেও সে অনুযায়ী ফার্নেস অয়েল সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিপিসি।

এরমধ্যে জুন মাসের শুরুতে ফার্নেস অয়েল আমদানির কোনো চালান দেশে আসছে না। এতে ফার্নেস অয়েলের মজুতও আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। মার্চ মাসে পিডিবি চাহিদা দিলেও সে অনুযায়ী ফার্নেস অয়েল সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিপিসি।

এরমধ্যে জুন মাসের শুরুতে ফার্নেস অয়েল আমদানির কোনো চালান দেশে আসছে না। এতে ফার্নেস অয়েলের মজুতও আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।

একই বিষয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম “বিদ্যুৎ সংকটের নেপথ্যে ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নজিরবিহীন টানা তাপপ্রবাহে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে।

বিদ্যুতের চাহিদা এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট হলেও উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৩ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে উৎপাদনের ক্ষমতা ৩২ শতাংশ বেশি। এরপরও গ্রামে ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ঘাটতি ৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলার সংকটে জ্বালানি (তেল, গ্যাস ও কয়লা) আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।

গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস আমদানি এবং বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিল বাবদ বর্তমানে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম “ভুল নীতির মাশুল অর্থনীতিতে”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টাকার মান কৃত্রিমভাবে ধরে রাখার খেসারত দিতে হচ্ছে গোটা অর্থনীতিকে। ডলারের বিনিময় হার বাংলাদেশ ব্যাংক ধরে রেখেছিল বহু বছর।

কিন্তু অর্থনীতি যখন সংকটে পড়ল, কমে গেল ডলার আয়, তখন আর পরিস্থিতি সামাল দিতে পারল না বাংলাদেশ। ডলার সংকটে সরকারের লেনদেনে দেখা দিয়েছে রেকর্ড ঘাটতি।

কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ঋণ পরিশোধের খরচ বেড়েছে, দেখা দিয়েছে জ্বালানি সংকট, অসহনীয় হয়ে উঠেছে মুদ্রাস্ফীতির চাপ। ভুল অর্থনৈতিক নীতি সংকটকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

৮ই জুন বৃহস্পতিবার প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা

বণিক বার্তার পেছনের পাতার খবর, “আদানি থেকে এবার বিদ্যুৎ আসা বন্ধ”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কয়লা সংকটে সম্প্রতি বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সর্ববৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা। সে সংকট না কাটতেই এবার বন্ধ হয়ে গেল ভারতের আদানি গ্রুপের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসা।

হঠাৎ আকস্মিক ঝড়ে বাংলাদেশ অংশে সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গতকাল বেলা পৌনে ৩টায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেয়া হয়।

এতে বিকালের দিকে লোডশেডিং অনেক বেড়ে যায়। তবে রাতের মধ্যেই সঞ্চালন লাইন ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তারা।

বিদ্যুৎ সংকট ও তীব্র গরমের প্রভাব নিয়ে নয়া দিগন্তের পেছনের পাতার খবর, “তীব্র তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ে হুমকিতে পোল্ট্রি খাত”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, একদিকে তীব্র তাপদাহ, অন্যদিকে ভয়াবহ লোডশেডিং। এ অবস্থায় হুমকির মধ্যে পড়েছে দেশের পোল্ট্রি শিল্প’সরকারের হাতে খরচ করার মতো টাকাও নেই, ডলারও নেই’।

হিটস্ট্রোকে প্রতিদিনই শেডে মুরগি মারা যাচ্ছে। একটা শেডে ব্রয়লার/লেয়ার মুরগির তাপমাত্রা সহ্যের ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট। বুধবার তাপমাত্রা ১১৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট রেকর্ড হয়েছে।

খামারিরা ঠান্ডা পানি স্প্রে করে মুরগির শেডের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। এমনিতেই উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তার ওপর জেনারেটর চালানোয় খরচ আরো বাড়ছে।

আর তা হলো ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে হলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি হওয়া যাবে না। কোনো ঋণখেলাপি এ ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে হলে তাকে পুরো খেলাপি ঋণ আগে পরিশোধ করতে হবে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ ধরনের একটি নীতিমালার খসড়া নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। শিগগিরই এটা চূড়ান্ত করা হবে’সরকারের হাতে খরচ করার মতো টাকাও নেই, ডলারও নেই’।

সিলেটের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর, “পিকআপে ওঠাই কাল হল তাদের”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ঘটনাস্থলেই ১১জন মারা যান।

আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছে। হতাহত সবাই নির্মাণ শ্রমিক। পিকআপে করে কাজে যাওয়ার সময় বুধবার ভোরে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে নাজিরবাজার এলাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।