ডিএমপিতে অনুমতি চাইতে গিয়ে জামায়াতের ৪ নেতা আটক

0
162
ডিএমপিতে অনুমতি চাইতে গিয়ে জামায়াতের ৪ নেতা আটক
ডিএমপিতে অনুমতি চাইতে গিয়ে জামায়াতের ৪ নেতা আটক

ডিএমপিতে অনুমতি চাইতে গিয়ে জামায়াতের ৪ নেতা আটক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ের গেট থেকে জামায়াতের চার নেতাকে আটক করা হয়েছে। কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জমা দিতে যাওয়ার সময় আজ সোমবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।

Untitled design 3

আগামী ৫ জুনের কর্মসূচি পালনের সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে আবেদন জমা দিতে যাচ্ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের এক প্রতিনিধি দল। তারা ডিএমপি কার্যালয়ের গেটে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটক করে।তাদেরকে মিন্টু রোডের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জামায়াতের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভুইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাতেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট জালাল উদ্দীন ভুইয়া প্রমুখ।

বিকেলে আটকের পর সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

বিকেলে আটকের পর সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আটক নেতাদের নামে কোনো মামলা না থাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

Untitled design 1 3

রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যামকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইতে গিয়ে জামায়াতের ওই চার নেতা আটক হন।আজ বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদরদপ্তরের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

জামায়াতের ওই ৪ নেতা হলেন- সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভুইয়া, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন ভুইয়া।

ডিসি আশরাফ বলেন, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যেন কোনো মামলার আসামি সাক্ষৎ করতে না পারেন, এ জন্য জামায়াত নেতাদের আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তারা মালিবাগে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি কি-না, সেটা দেখা হয়। তারা কোনো মামলার আসামি না হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। একজনের নামে মামলা থাকলেও তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন।

আগামী ৫ জুন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চায় জামায়াতে ইসলামের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। এ কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইতে জামায়াতের প্রতিনিধি দলটি ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়েছিল।

এর আগেও চারবার দলটির পক্ষ থেকে কর্মসূচি পালন করার অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা অনুমতি পাননি। আজ পঞ্চমবারের মতো অনুমতি চাইতে গেলে তাদের আটক করে হয়।

কারাগারে থেকেও আসামি স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা

কারাগারে থেকেও আসামি স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগের এক মামলায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা দুজন ছিলেন কারাগারে। কিন্তু আগের দিন রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপের মামলায়ও তাঁদের আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক আলী মুর্তজা খান (৩৬) এবং সহত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শাহ ইমরান  সিদ্দিকী ওরফে জ্যাকসন (৩৮)। নতুন মামলায় আলী মর্তুজাকে ১ নম্বর, আর শাহ ইমরানকে ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

Untitled design 2 2

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ মোহাম্মদ এমরান হোসেন মিঞা সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আলী মুর্তজা খান ও শাহ ইমরান সিদ্দিকীকে ৭ মে কারাগারে আনা হয়েছিল। তাঁরা দুজনই জামিনে সোমবার সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, নগরের কোতোয়ালি থানার একটি মামলায় ৭ মে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঞার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন নগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক আলী মুর্তজা খান এবং সহত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শাহ ইমরান সিদ্দিকীসহ ৩৯ জনকে কারাগারে পাঠান। সেই মামলায় সোমবার তাঁরা জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।

গত ১৬ জানুয়ারি নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে বিএনপির অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন পুলিশের পাঁচ সদস্য। সংঘর্ষকালে ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজীর দেউড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। হামলার অভিযোগে বিএনপির ১৬ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। পরদিন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেমসহ প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করে পৃথক চারটি মামলা হয় কোতোয়ালি থানায়। তার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন আলী মুর্তজা খান ও শাহ ইমরান সিদ্দিকী।

কারাগারে থাকা অবস্থায় আলী মুর্তজা ও শাহ ইমরান কীভাবে পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি হলেন, সে প্রশ্নের জবাবে নগরের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আমি দেখতেছি।’ মামলাটি করেছিলেন চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুর রহমান। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

এদিকে রোববার বিকেলে নগর বিএনপির পদযাত্রা বহদ্দারহাট মোড়ে এসে শেষ হয়। এর কিছুক্ষণ আগে পদযাত্রায় থাকা লোকজনকে সরে যেতে বাঁশি দেয় পুলিশ। তখন বিএনপির নেতা–কর্মীদের কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে সবাই চলে যান। এ ঘটনায় রোববার রাতে চান্দগাঁও থানার এসআই লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আলী মুর্তজা খান, শাহ ইমরান সিদ্দিকী, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেনসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসম্পাদক নুহ গাজী সেলিমসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
যোগাযোগ করা হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আলী মুর্তজা খান রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় কারাগার থেকে বের হয়েছি। কীভাবে বহদ্দারহাটে পুলিশকে ইটপাটকেল ছুড়ে মেরেছি, তা বুঝতে পারছি না।’

কারাগারে থেকে মামলার আসামি হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ–ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শাহ ইমরান সিদ্দিকী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনা না ঘটলেও পুলিশ মামলা করে—তারই প্রমাণ কারাগারে থাকা অবস্থায় তাঁকে আসামি করাটা।

কারাগারে থাকা দুই নেতাকে মামলার আসামি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এ এইচ এম রাশেদ খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা পুলিশ বাহিনী আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এসব করছে।’ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।

সব দলের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ হবে, সেটা আশা করে সরকার

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতির বিধিনিষেধ সব রাজনৈতিক দল বা সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ হবে, সেটি আশা করে বাংলাদেশ সরকার।

Untitled design 3 1

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ সোমবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলে তখন মন্ত্রী সরকারের পক্ষে এ বক্তব্য তুলে ধরেন। আনিসুল হক প্রথম আলোকে এ কথা জানান।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এ কথাও জানিয়েছেন যে কোনো দেশের চাওয়ার বিষয় নয়। বাংলাদেশ সরকারই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করবে এবং সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।

পিটার হাস আজ বেলা সাড়ে তিনটায় ঢাকার গুলশানে আইনমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।

তখন তাঁরা বৈঠক করেন প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সময় ধরে।

এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তাঁর দেশের ঘোষিত ভিসা নীতি সম্পর্কে আইনমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেন।

তবে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নতুন ভিসা নীতি প্রকাশ করেছে গত ২৪ মে।

এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে বিষয়টি সম্পর্কে আগেই জেনেছেন। কিন্তু আজ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ভিসা নীতি সম্পর্কে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here