গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি নয়, দ্রব্যমূল্য কমান

0
165
তিন বছরে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র
তিন বছরে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র

গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি নয় সরকার বলেছে, এখন থেকে প্রতি মাসেই গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। এই ‘সমন্বয়’ শব্দটার ওপরে সাধারণ মানুষের এক ধরনের আতঙ্ক এসে গেছে। দেশে মূল্যস্ফীতি এখন ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাজারে তার প্রভাব পড়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ গত এক বছরে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনলেও বাংলাদেশ তা পারেনি। বারবার কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিলেও তাতে অর্থনীতিবিদদের সায় মিলছে না। অনেকেই বলছেন, যেসব দেশ মূল্যস্ফীতি রোধে সক্ষম হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো দরকার। দ্রুত এ ব্যাপারে কার্যকর কিছু করা সম্ভব না হলে জনজীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব বাড়বে।

Untitled design 2

মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এই বক্তব্যকে মনগড়া ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ভোক্তারা। চুরি ঠেকাতে না পেরে সেই দায় আবাসিক গ্রাহকদের ওপর চাপাতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমানে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলা ৫৫ ঘনমিটার (৯৯০ টাকা) এবং দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার (১০৮০ টাকা) গ্যাসের বিল আদা করা হচ্ছে। আগে এক চুলার জন্য ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলায় ৭৭.৪১ ঘনমিটারের বিল আদায় করা হতো। তিতাস দাবি করেছে, নির্ধারিত পরিমাণের (৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার) চেয়ে মিটারবিহীন গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করে। ফলে সিস্টেম লস বৃদ্ধি পেয়েছে। তিতাস তার আবেদনে এক চুলা ৭৬.৬৫ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৮৮.৪৪ ঘনমিটার করার আবদার করেছে বিইআরসির কাছে।

অথচ এর মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসির) কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, তিতাস একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রমেই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। তথ্যমতে, গত মাসেও তিতাসের ক্ষতির পরিমাণ দুইশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হলে তার প্রভাব পড়বে অন্যান্য ক্ষেত্রে এবং ভোগান্তি বাড়বে নির্ধারিত আয়ের গৃহস্থদের।

তিতাস গ্যাসের এই বক্তব্যের সাথে একমত হতে পারছি না। আসলে, তিতাস গ্যাস অযৌক্তিকভাবে বিল বাড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের পরিসংখ্যান বের করলেই তিতাসের বক্তব্য অসার প্রমাণিত হবে। রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আমার এ আত্মীয় বলেছেন, আগে ১ হাজার টাকার গ্যাস রিচার্জ করলে প্রায় তিন মাসের মতো চলে যেত।

গত বছর দাম বাড়ানোর পর (১২.৬০ থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা) ১৫শ টাকা রিচার্জ করলে আড়াই থেকে তিন মাস চলে যায়। অর্থাৎ প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীর মাসে খরচ পড়ছে ৫ থেকে ৬শ টাকা। লালমাটিয়ার এক বাসিন্দা প্রায় একই রকম তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি বড় পরিবার হলেও ৮শ টাকার বেশি গ্যাস লাগবে না।

তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাতজন ১ হাজার টাকার গ্যাস রিচার্জ করলে দুই মাসের মতো চলে যায়। প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। অর্থাৎ ১৫শ টাকা রিচার্জ করলে ৮৩ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করতে পারছেন একজন গ্রাহক। দুই চুলার গ্রাহকের কাছ থেকে মাসে ৬০ ঘনমিটারের বিল আদায় করা হচ্ছে।

মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগেও ক্রেতা-ভোক্তার অধিকার রক্ষা ও সংকট মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণই রীতি। তাছাড়া একটি তেজি চলমান অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির ধারা এতদিন ধরে অব্যাহত থাকতে পারে না। বিইআরসির বৈঠকে অংশ নিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী যদিও বলেছেন, দ্রব্যমূল্য একবার বাড়লে তা নামতে সময় প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ মূল্য বাড়ে দ্রুত আর কমে ধীরে। কিন্তু যেটা জনগণ দেখতে চায় তা হলো মূল্য কমার জন্য সরকারের কার্যকর উদ্যোগ। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থা এজন্য দায় কার বা কী তা নিয়েই সময়ক্ষেপণ করছে। আমার মনে হয় দেরি না করে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর এখনই বসা দরকার। তারা সহায়তা নিতে পারেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের। কথা হলো, যেভাবেই হোক বাজারে হস্তক্ষেপ জরুরি। এটা এখন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি।

আর মাত্র ৬-৭ মাস পরই জাতীয় নির্বাচন। তার আগে দ্রব্যমূল্য কমানোর ক্ষেত্রে কিছু সাফল্য প্রয়োজন। এই বিবেচনা থেকে বলা যায়, গ্যাস-বিদ্যুতের মতো মৌলিক উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির এটা সময় নয়। আমরা জানি আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের শর্ত রয়েছে এ দুই খাতে ভর্তুকি কমানো বা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে। তা সত্ত্বেও নির্বাচন সামনে রেখে এ শর্ত পূরণের দায় কিছুটা পেছানো প্রয়োজন। এ নিয়ে তাদের মতামতও নেওয়া যেতে পারে। আর এর মধ্যে বাজার স্থিতিশীল করা ও মূল্য কমিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে। সরকার বিলাসদ্রব্যের আমদানি কমিয়ে নিত্যপণ্যের আমদানি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশ্ববাজারে এখন নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল হয়েছে। আমরা আশা করব তিতাসসহ গ্যাসসংশ্লিষ্ট সব কোম্পানির দুর্নীতি-অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার রোধকে সরকার গুরুত্ব দেবে। সেই সঙ্গে কমিশন থেকে তিতাসের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে তা পুনর্গঠন করা দরকার। সুচিন্তিত পদক্ষেপের মাধ্যমেই এমন সমস্যার সমাধানে সফল হওয়া সম্ভব।

ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন: সংসদীয় কমিটি

ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এতে জনমনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার (২৩ মে) সংসদ ভবনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। এ বৈঠক থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান।

Untitled design 1 2

বৈঠকে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপযুক্ত জায়গায় নিট মিটারিং পদ্ধতিতে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার সুপারিশ করা হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানিসংক্রান্ত প্রকল্প ও যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ আসবে সেসব প্রকল্প অগ্রাধিকার দিয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রূপরেখা প্রণয়নে একটি সংসদীয় উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমানকে সদস্য রাখা হয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশীয় উৎস হতে কয়লা ও গ্যাস সরবরাহের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা হয়। এসময় বড়পুকুরিয়া কোল-মাইনিং কোম্পানির আওতাধীন বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতার অগ্রগতির বিষয়ে তুলে ধরা হয়।

অন্যদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে ইভাকুয়েশনের লক্ষ্যে পিজিসিবি থেকে গৃহীত বিভিন্ন প্যাকেজের অগ্রগতি ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করা হয়। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝখানে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

লুটপাটের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ খাতকে বেছে নেওয়া হয়েছে

দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, লুটপাটের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ খাতকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রেন্টাল–কুইক রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র) আর ক্যাপাসিটি চার্জ (সক্ষমতার ভাড়া) দিয়ে বাজে অবস্থা করেছে। কয়েকটা কোম্পানি সরাসরি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত, সিংহভাগ তারাই নিয়ে যাচ্ছে। মানুষের পকেটের টাকা লুট করে বিদেশে বিনিয়োগ করছে তারা।

Untitled design 2 1

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। আজ সোমবার বিএনপি সমর্থক প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) এই আলোচনার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। অর্থনীতি অতি দ্রুত রসাতলে যাচ্ছে। একটা উন্নয়নবিভ্রম সৃষ্টি করেছে।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন পুনরায় শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ হামলা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় সরকারি দলের গুন্ডারা হামলা করেছে। সভা পণ্ড করে দিয়েছে। সন্ত্রাস দিয়ে, পুলিশ ব্যবহার করে জনগণের আন্দোলন তছনছ করে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ মানেই সন্ত্রাসী, আওয়ামী লীগ মানেই দুর্নীতিবাজ। দলটির রসায়ন থেকে এ দুটো বের হয়ে আসে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আসার কথা বলা হচ্ছে। অথচ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। ৪০ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। বিশ্বে এমন নজির কোথাও নেই। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অসম্ভব। ১৯৯৬ সালে এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বারবার বলেছেন। এখন ঘুরে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না। দিনের ভোট রাতে করার, ভোট চুরির এমন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ আর পা দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, গোটা রাষ্ট্রকে পরিকল্পিতভাবে পরনির্ভরশীল ও রাজনৈতিকভাবে কুক্ষিগত করে রাখাই সরকারের লক্ষ্য। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া দিতে দিতে বাজে অবস্থা হয়েছে। ঋণের বোঝা বাড়ছে। ভবিষ্যতে এ বোঝা বহন করতে পারবে বলে কোনো অর্থনীতিবিদ মনে করেন না। সরকার পরিবর্তন না হলে চুরি, দুর্নীতি বন্ধ হবে না। আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে হবে। লুটপাটের অর্থনীতি, মাফিয়া অর্থনীতি বন্ধে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। এর জন্য জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ–উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন করার সময়ই বোঝা গিয়েছিল, তারা দুর্নীতির মহাসড়কে নিয়ে যাবে। দেশ এখন ধীরে ধীরে তলাবিহীন ঝুড়ির দিকে যাচ্ছে।

গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাব সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগে ছিল একটি, এখন দুটি প্রতিবেশী দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লুৎফুর রহমান, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here